ঢাকা, বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, বিকাল ৪:৪১
বাংলা বাংলা English English

তীব্র খরার কবলে ইরাক


তীব্র খরার কবলে পড়েছে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চল। এতে পানি সংকটে ভুগছে বাসিন্দারা। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, পানির অভাবে ৯০ শতাংশ বৃষ্টিনির্ভর ফসলের উৎপাদন কমেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছেন বাসিন্দারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই মারাত্মক খরার মুখে ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চল। চলতি বছর তা আরও বেড়েছে। সুইডেনের লুলি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির এক অধ্যাপক জানান, ইরাকে বৃষ্টির পরিমাণ গেল তিন দশকে ৩০ শতাংশ কমেছে। প্রচণ্ড খরায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলবাসী। একটু পানির আশায় প্রতিদিন কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়েন বাসিন্দারা। তবুও যেন পানির দেখা মেলে না। কিংবা মাইলের পর মাইল হেঁটেও অনেকেই ফেরেন খালি হাতে।

খরার কারণে শস্য উৎপাদনও কমে গেছে ইরাকে। দেশটিতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কর্মকর্তারা জানান, গমসহ কমপক্ষে ৯০ শতাংশ বৃষ্টিনির্ভর ফসলের উৎপাদন কমেছে। ২০২০ সালে ৫৫ লাখ টন গম উৎপাদনের কথা থাকলেও, হয়েছে ২১ লাখ টন। প্রশাসন বলছে, পানি নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রীতিমতো বিরোধও তৈরি হচ্ছে। এমন অভিযোগ স্থানীয়দেরও।

খরার কবলে পড়া এক ব্যক্তি বলেন, গত মৌসুমে কিছু ফসল উৎপাদন করতে পারলেও এখন আর তা পারছি না। কারণ বৃষ্টি নেই। পানিও নেই। আমাদের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

আরেক ব্যক্তি বলেন, পানির অভাবে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে পানি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া লাগছে।

 

তীব্র খরা আর পানির কষ্টে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অন্তত ৮শ’র মতো পরিবার অন্যত্র চলে গেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এপি। আবহাওয়াবিদদের মতে, ইরাকে পানি সংরক্ষণের পরিমাণ বছরে ৭০ বিলিয়ন ঘনমিটার হওয়ার কথা থাকলেও তা কমে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ঘনমিটারে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ দুর্বল ব্যবস্থাপনা, অবৈধভাবে পানি সরবরাহসহ নানা কারণে পানির সংকট আরো তীব্র হয়েছে। তবে, শুধু ইরাক-ই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের আরও অনেক দেশই খরার কবলে পড়েছে। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে চলতি বছর গড়ে ২৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত কমেছে।

সব খবর